সাউথ আফ্রিকায় ফরিদগঞ্জের ইব্রাহিম হত্যা মামলার আসামী টুটুল গ্রেফতার

পরে ঘটনা বিস্তারিত জেনে সোহেল হত্যায় জড়িত আটজনের নাম উল্লেখ করে তিনি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলো রিয়াজ ওরফে টুটুল। দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে সেই নামটা আবার সামনে আসে।
২৬ জুন ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টা। ফরিদগঞ্জের কালিরবাজার তখন অন্ধকার ছিলো।
কিন্তু সিআইডি ও থানা পুলিশের অভিযান ছিলো কৌশলী আর শব্দহীন। গজারিয়া গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে টুটুল তখন নিজ বাড়িতেই ছিলেন। তার গ্রেফতারের মুহূর্তটা যেনো ছিল কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্য—চোখে মুখে হতভম্ব ভাব, মুখে অজানা শঙ্কা।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হায়াত মাহমুদ খালেদ কায়সার ও তাঁর দল নির্ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেন। টুটুলকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, তখন তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত ইব্রাহিমের পরিবারের এতোদিন যে ভয়, অনিশ্চয়তা আর কান্নার ভেতর দিয়ে গেছে, এই আটকের ঘটনা তাদের জন্যে হতে পারে এক ধরনের স্বস্তি, একরকম আশার আলো।
মো. রিয়াজ ওরফে টুটুল,পিতা মৃত জয়নাল, গজারিয়া, ফরিদগঞ্জ। ফরিদগঞ্জ থানার মামলা নং ২১তারিখ ২৭-৭ -২০২০ খ্রি.। টুটুল এজাহার নামীয় ২নং আসামি। নিহত ইব্রাহিম খলিল সোহেলের পরিবার নৃশংস ও পরিকল্পিত এ হত্যার ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ইব্রাহিম খলিল হত্যা মামলায় ৮ জন আসামির মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি টুটুলসহ মোট পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পলাতক রয়েছে আরো দুজন।




